বিদেশী জঙ্গি সংগঠনরাই আফগানিস্তান-তালেবান লড়াইয়ে তালেবানদের সহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের আফগানিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম এম ইসাকজাই। ইসাকজাই বলেন, ‘ তালেবানরা একা নন। তাদেরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক থেকে সহায়তা করে। তারা একসাথে আফগানিস্তানে এবং আমাদের অঞ্চলে এবং এর বাইরেও শান্তি, নিরাপত্তা হুমকি দিচ্ছে।’ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসাকজাই বলেন, সন্ত্রাসীরা বিদেশী সহায়তায় ৩১টি প্রদেশে ৫ হাজার ৫শরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে তালেবান ও তাদের সহযোগী গ্রুপ ৩১টি প্রদেশে ৫ হাজার ৫শরও বেশি যে হামলা চালিয়েছে তার পিছনে রয়েছে আল কায়েদা,লাসকার ই তায়েবা, তেহরিক ই তালেবান সহ ২০টি জঙ্গি সংগঠনের ১০ হাজার সন্ত্রাসী। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলছেন, পাকিস্তান তালেবানদের যুদ্ধ মেশিন সরবরাহ করে। একটি ভিডিওতে আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য ডুরান্ড লাইনের কাছাকাছি তালেবানদের ভিড়, পাকিস্তানের হাসপাতালে গণ দাফনের জন্য আফগানিদের মৃতদেহ স্থানান্তর করার মত বিষয় উঠে এসেছে। এরইমধ্যে তালেবানরা বেসামরিক নাগরিক, আফগান প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার গতি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তালেবানরা আফগানিস্তানের উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তখরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা দখল করেছে।
গত মাসের শুরুতে দেশটির কান্দাহার প্রদেশে তালেবানরা একজন জনপ্রিয় আফগান কমেডিয়ানকে হত্যা করেছিল। তালেবানরা নারীদের স্বাধীনতাকেও চরমভাবে খর্ব করছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে ঢেকে রাখা, তাদের বাড়ির বাইরে কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, নারীদের শিক্ষাকে সীমিত করে আনা হয়েছে। এমনকি তাদের বাড়ির বাইরে বের করতে হলে পুরুষ অভিভাবকের সাথে বের হতে হবে বলে নিয়ম জারি করেছে তালেবানরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।